Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

এক নজরে

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:

অনেক ধরনের প্রতিকূলতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও বাংলাদেশ বিগত ৫০ বছরে খাদ্য উৎপাদনে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জন করেছে। টেকসই উৎপাদনের সফলতা নির্ভর করে দক্ষ ও কার্যকর বিপণন ব্যবস্থার উপর। তবে কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থায় নানামুখী চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি উৎপাদক ও ভোক্তার সন্তুষ্টি অর্জনে এখনো ঘাটতি রয়ে গেছে। বিপণন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকল পর্যায়ে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিপণন বিবেচনা শুরু হয় উৎপাদন সিদ্ধান্ত এবং উৎপাদন প্রযুক্তি নির্ধারণের  আগেই। সুতরাং, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং বর্ধিত উৎপাদন বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিপণনের ভুমিকা অনস্বীকার্য। ১৯৩৪ সালে কৃষি বিপণন উপদেষ্টা বিপণন বিভাগ তৈরি করার জন্য তৎকালীন সরকারের কাছে একটি পরিকল্পনা জমা দেন। সরকার প্রকল্পটি গ্রহণ করে এবং ১৯৩৫ সালে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক বিপণন কর্মী নিয়োগ করে। বিপণনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা বুঝতে পেরে অবিভক্ত বাংলার সরকার ১৯৪৩ সালে স্থায়ী ভিত্তিতে কৃষি ও শিল্প অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি বিপণন বিভাগ গঠন করে। স্বাধীনতার পর ১৯৫৪ সালে, পূর্ব পাকিস্তান সরকার কৃষি, সমবায় এবং ত্রাণ অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের অনুমোদন দেয়। ১৯৬০ সালে, প্রাদেশিক পুর্ণগঠন কমিটি কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের বিভাগ, জেলা  এবং মহুকমা পর্যায়ে লোকবল নিয়োগের অনুমোদন দেয়। ১৯৮২ সালে, বাংলাদেশ সরকার ব্রিগেডিয়ার এনামুল হক খানের নেতৃত্বে গঠিত সাংগঠনিক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে/বিভাগ পুনর্গঠন করে। তখন, কৃষি বিপণন পরিদপ্তরের গুরুত্ব, অবস্থা, এবং কর্মপরিধি বিবেচনা করে এর নাম মর্যাদা উন্নত করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করা হয়। 

কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার "কৃষি বিপণন আইন ২০১৮" প্রণয়ন করে কৃষি বিপণন তথ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্যের মূল্য নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কৃষি পণ্যের গুণগত মান নির্ধারণ ও পরিবীক্ষণ, কৃষিভিত্তিক সংগঠন ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, কৃষি পণ্যের মূল্য সহায়তা প্রদান, বাজার অবকাঠামো নির্মাণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ সহায়তাসহ বিপণন সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে প্রদান করেছে।